রবিবার, ২১ নভেম্বর, ২০২১
ব্ল্যাক ডায়মন্ডখ্যাত স্বনামধন্য শিল্পী বেবি নাজনীনের একের পর এক গানে বিমোহিত হন নিউইয়র্কসহ বিভিন্ন স্টেটের বাংলাদেশী আমেরিকানরা। শুক্রবার সন্ধ্যায় বেবি নাজনীন ফেনস ক্লাব ইউএসএ আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে শিল্পী তাঁর জনপ্রিয় আধুনিক গানগুলো গেয়ে উপস্থিত দর্শকদের নষ্টালজিয়ায় ফেলে দেন।
গুলশান টোরেসে শিল্পী তাঁর পরিবেশনা শুরু করেন সূর্য যখন ওঠে গানটি দিয়ে। তারপর দু’চোখে ঘুম আসেনা, এলোমেলো বাতাসে উড়িয়েছি শাড়ির আঁচলসহ তাঁর জনপ্রিয় ১০টি গান পরিবেশনের পর একটি বিরতি নেন এই মহান শিল্পী। বিরতিতে আয়োজকদের পক্ষ থেকে অনুষ্ঠানে উপস্থিত শিক্ষক, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, কমিউনিটি অ্যাক্টিভিস্টসহ সকল শ্রেণী-পেশার মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয়।
বিরতি থেকে ফিরে শিল্পী তাঁর স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতে তরুন শিল্পীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ভাল শিল্পী হওয়ার প্রথম ও প্রধান কাজ হচ্ছে রেওয়াজ করা। তিনি বলেন, লক্ষ্য আর উদ্দেশ্য সাধণে কঠোর পরিশ্রমের কোন বিকল্প নেই।
তিনি অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকল শ্রেণী-পেশার মানুষকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে মেহেদি হাসানের গজল দিয়ে আবার তাঁর পরিবেশনা শুরু করেন। উর্দু, হিন্দি গজল ছাড়াও অতিথিদের পছন্দের গানগুলো একে একে পরিবেশন করেন বাংলাদেশের সঙ্গীত অঙ্গণে সাড়া জাগানো এই শিল্পী। গেয়েছেন সিলেটের আন্চলিক গানও।
সবশেষে তাঁর নিজের এলাকার জনপ্রিয় ভাওয়াইয়া গান, একি গাড়িয়াল ভাই দিয়ে শেষ করেন তাঁর একক একক সঙ্গীত সন্ধ্যা। আর এ সময় হলভর্তি দর্শকরা তাঁকে দাঁড়িয়ে সম্মান প্রদর্শন করেন।
সুন্দর ও পরিপাটি এই সঙ্গীত সন্ধ্যায় উপস্থিত ছিলেন, বিএনপি স্বাধীনতার সূবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন কমিটির আহবায়ক জিল্লুর রহমান জিল্লু, সদস্য সচিব মিজানুর রহমান মিল্টন ভূঁইয়া, বিএনপি নেতা শরাফত হোসেন বাবু,ডা. সারওয়ারুল আলম, কমিউনিটি অ্যাক্টিভিস্ট শাহ নেওয়াজ, আসিফ বারী টুটুল, আহসান হাবিব, বিএনপি নেতা মাকসুদুল এইচ চৌধুরী, যুক্তরাষ্ট্র যুবদল সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সাঈদ আহমেদসহ অনেকে। নৈশভোজের মাধ্যমে শেষ হয় সঙ্গীতের এই মিলনমেলা।
উল্লেখ্য, উপমহাদেশের প্রখ্যাত শিল্পী বেবি নাজনীন বাংলাদেশের নীলফামারী জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। বর্তমানে তিনি নিউইয়র্কে স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন। সঙ্গীতে অবদানের জন্য তিনি বেশ কয়েকবার জাতীয় চলচিত্র পুরষ্কার লাভ করেন। সর্বশেষ ২০০৩ সালে তিনি সঙ্গীতে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরষ্কার লাভ করেন। এছাড়া দেশ বিদেশ থেকে পান অসংখ্য সম্মাননা।
শাহ ফারুক রহমান
এডিটর, বিডিইয়র্ক, নিউইয়র্ক।