মঙ্গলবার, ২১ জুন, ২০২২
যুক্তরাষ্ট্র থেকে রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়াতে সব শ্রেণী পেশার মানুষকে নিয়ে আরও কার্যকর উদ্যোগ নেয়া হবে। কারণ বাংলাদেশে রেমিট্যান্স পাঠানোর ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র দ্বিতীয় অবস্থানে আছে।
....নিউইয়র্কে বাংলাদেশ কনসুলেট আয়োজিত আন্তর্জাতিক ফ্যামিলি রেমিট্যান্স দিবস শীর্ষক সেমিনারে এসব কথা বলেন ওয়াশিংটনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম শহীদুল ইসলাম।
রেমিট্যান্স বাড়াতে সরকার খুবই সচেতন উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত বলেন, বর্তমান সরকার এমন কিছু ব্যবস্থা নিয়েছে যা পার্শ্ববর্তী দেশগুলোও নেয়নি। প্রণোদনা আরও বাড়ানোর ব্যাপারে এম শহীদুল ইসলাম বলেন, এটা ইতিমধ্যে দু’বার বাড়ানো হয়েছে। প্রবাসীদের কষ্টার্জিত অর্থ যাতে তারা দেশে বিনিয়োগ করে সুফল পান সেজন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার সাথে সহমত পোষণ করেন ওয়াশিংটনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম শহীদুল ইসলাম।
নিউইয়র্কে বাংলাদেশ কনসুলেট জেনারেল কর্তৃপক্ষ আয়োজিত আন্তর্জাতিক ফ্যামিলি রেমিট্যান্স দিবস-২০২২ শীর্ষক সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন কনসাল জেনারেল ড. এম মনিরুল ইসলাম। তিনি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের উপর আলোচনায় অংশ নিতে আসা বাংলাদেশ কমিউনিটির বিশিষ্টজনদের কনসুলেট অফিসের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। নিউইয়র্ক তথা যুক্তরাষ্ট্র থেকে কিভাবে রেমিট্যান্স প্রবাহ আরও বাড়ানো যায় সে ব্যাপারে সবার সুচিন্তিত মতামত তুলে ধরার আহবান জানান মনিরুল ইসলাম।
সেমিনারে মুল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন নিউইয়র্কে সোনালী এক্সচেন্জের সিইও দেবশ্রী দত্ত।
এরপরই উন্মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন নিউইয়র্কে বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সিইওগণসহ কমিউনিটির বিশিষ্টজনেরা। প্রবাসীদের বিনিয়োগের পরিবেশ তৈরি করা,দেশে বিনিয়োগ করার ক্ষেত্রে অহেতুক নানা শর্তারোপ বন্ধ করা, বিনিয়োগের টাকা ফেরত আনার সুযোগ দেওয়া, হয়রানি বন্ধ করা, প্রবাসীদের সন্তানদের অর্থাৎ নতুন প্রজন্মকে বাংলাদেশ সম্পর্কে আগ্রহী করে তুলা, প্রণোদনার পরিমাণ বাড়ালে আরও বড় আকারের রেমিট্যান্স দেশে যাবে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন প্রবাসী আমেরিকানরা। তারা বলেন,এই সরকার মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের সরকার, প্রবাসীবান্ধব সরকার। তাই যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নিলে যুক্তরাষ্ট্র হতে পারে বাংলাদেশের এক নম্বর রেমিট্যান্স পাঠানোর দেশ।
সেমিনারে আলোচনায় অংশ নেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামীলীগের সভাপতি ডক্টর সিদ্দিকুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোস্তফা খান মিরাজ,দপ্তর সম্পাদক প্রকৌশলী মোহাম্মদ আলী, কমিউনিটি অ্যাক্টিভিস্ট মোর্শেদা জামানসহ বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সিইওগণ।
উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ, শিক্ষক, সাহিত্যিক,সাংবাদিক, রাজনীতিবিদ,কমিউনিটি অ্যাক্টিভিস্ট, সিটি ও স্টেটের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ, কনসাল অফিস ও স্থায়ী মিশনের কর্মকর্তা এবং কর্মচারিবৃন্দ।
শাহ ফারুক রহমান
এডিটর, বিডিইয়র্ক, নিউইয়র্ক।