শনিবার, ০৩ সেপ্টেম্বর, ২০২২
জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনীর কাজ ছিল শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। এখন এর সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে উন্নয়ন।
৩১ আগস্ট থেকে ৩ দিনের পুলিশ প্রধান সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় জাতিসংঘ সদর দপ্তরে। এতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নেতৃত্বে ৬ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধি দল যোগদান করে। সম্মেলনের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলতে গিয়ে বাংলাদেশের আইজিপি বলেন, আগে শান্তিরক্ষী বাহিনীর সদস্যরা শুধু শান্তি প্রতিষ্ঠা ও নিরাপত্তা নিয়ে কথা কাজ করতেন। এখন শান্তি ও নিরাপত্তাকে টেকসই করতে সেখানে উন্নয়ন কাজেও অংশ নেবে তারা।অর্থাৎ শান্তি ও নিরাপত্তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে উন্নয়ন। আর সেটাই ছিল এবারের জাতিসংঘের পুলিশ প্রধান সম্মেলনের প্রধান এজেন্ডা। এই তৃতীয় বিষয়টি তথা উন্নয়ন সংযোজনের বিষয়টি জানানো ও এর খসড়া সদস্য রাষ্ট্রগুলোর হাতে তুলে দেওয়াই ছিল জাতিসংঘে পুলিশ প্রধান সম্মেলনের প্রধান উদ্দেশ্য।
সম্মেলন থেকে বাংলাদেশের অর্জন নিয়ে কথা বলতে গিয়ে বাংলাদেশের পুলিশ মহাপরিদর্শক বলেন, জাতিসংঘের নিরাপত্তা বিভাগের প্রধান জেনারেল ভ্লাদিমির ভরেণকভ সন্ত্রাস দমনে বাংলাদেশ পুলিশ বিভাগের ভূঁয়ুসী প্রশংসা করেছেন।
অন্যদিকে সোয়াতসহ পুলিশের বিশেষ ইউনিটের প্রশংসা করেছেন জাতিসংঘের পুলিশ বিভাগের পরিচালক। শুক্রবার জাতিসংঘের পুলিশ বিভাগের পরিচালকের সঙ্গে বৈঠকে বাংলাদেশ পুলিশ বিভাগ থেকে বিভিন্ন পদ মর্যাদার কর্মকর্তাদের শান্তিরক্ষী বাহিনীতে আরও বেশি সুযোগ দেওয়ার আহবান জানান বাংলাদেশের আইজিপি। ড. বেনজির আহমেদ বলেন, আমার প্রস্তাবটি বিবেচনার আশ্বাস দিয়েছেন জাতিসংঘের পুলিশ বিভাগের পরিচালক।
সম্মেলনের ফাঁকে গাম্বিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তাদের পুলিশ বাহিনীর সক্ষমতা বাড়াতে বাংলাদেশ পুলিশের সহায়তা চেয়েছেন বলে জানিয়েছেন বেনজীর আহমেদ। তিনি বলেন, বিষয়টি নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সবাই পরে আলোচনা করবেন।
সব মিলিয়ে জাতিসংঘের পুলিশ প্রধান সম্মেলনে বাংলাদেশের অর্জন অসাধারণ বলে মন্তব্য করেন বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক ড. বেনজীর আহমেদ।
শাহ ফারুক রহমান
এডিটর, বিডিইয়র্ক, নিউইয়র্ক।