সোমবার, ২০ মার্চ, ২০২৩
সাপ্তাহিক আজকাল’র ৩ মার্চের সংখ্যায় ব্যবসায়ী মোহাম্মদ ইয়াসিনের বিরুদ্ধে প্রকাশিত সংবাদ মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন ব্যবসায়ী মোহাম্মদ ইয়াসিন। শনিবার শনিবার দুপুরে জ্যাকসন হাইটের মুনলাইট রেস্টুরেন্টে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি করেন।
মোহাম্মদ ইয়াসিন বলেন,তারা তাদের পত্রিকায় ছেপেছে আমি জনৈক এস কে আনোয়ার নামে এক বাংলাদেশী ব্যবসায়ীর কাছ থেকে এসবিএ লোনের ৫ লাখ ডলার হাতিয়ে নিয়েছি এবং এর প্রেক্ষিতে প্রতারণার দায়ে আমাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এটি সম্পূর্ণ অসত্য। এই রিপোর্ট করার আগে আমার সাথে আজকাল পত্রিকার কেউ যোগাযোগ করেনি। এমনকি আমাদের পক্ষ থেকে দেওয়া প্রতিবাদ লিপিও ছাপায়নি আজকাল কর্তৃপক্ষ। শুধু এস কে আনোয়ারের তথ্য নিয়ে একতরফা রিপোর্ট হতে পারেনা।
এটি বস্তনিষ্ঠ সাংবদিকতার মধ্যে পড়েনা মনে করেন তিনি। ইয়াসিন বলেন, এই সংবাদের ফলে আমরা পারিবারিক ও সামাজিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। আমার ও আমার পরিবারের সম্মানহানি ঘটেছে। তাই আজকাল পত্রিকার বিরুদ্ধে তিনি মানহানীর মামলা করেছেন বলে সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন এই তরুন ব্যবসায়ী। তিনি জানান, অসত্য তথ্য দেওয়ায় তিনি এস কে আনোয়ারের বিরুদ্ধেও মানহানীর মামলা করেছেন।
তবে ব্যবসায়ী মোহাম্মদ ইয়াসিন সাংবদিকদের জানিয়েছেন, যদি একই পৃষ্ঠায় আমাদের বক্তব্য ছাপিয়ে আজকাল কর্তৃপক্ষ দু:খ প্রকাশ করে তাহলে তিনি তাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মানহানীর মামলা প্রত্যাহার করবেন।
ঘটনা সম্পর্কে মোহাম্মদ ইয়াসিন জানান, এস কে আনোয়ারের সাথে পরিচয়ের পর একটি সুন্দর পারিবারিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এক সময় ব্যবসার প্রয়োজনে মোহাম্মদ ইয়াসিন এস কে আনোয়ারের সোস্যাল সিকিউরিটি নম্বরও ব্যবহার করেন। সেটি তিনি অবগত। ইয়াসিন বলেন, এস কে আনোয়ারের স্টোর আমি মালিক হিসাবে পরিচালনা করেছি, তাঁর কর্মচারি হিসাবে নয়। কোভিডে ব্যবসা সংক্রান্ত যে লোন পাই এর পরিমান ৮৪ হাজার ডলার। সেটি আমরা দুজনে ৪২ হাজার ডলার করে ভাগ করে নেই। অথচ এস কে আনোয়ার বলেছেন ৫ লাখ ডলার যা সত্য নয়।
মোহাম্মদ ইয়াসিন বলেন,আমি দ্বিধাহীন চিত্তে বলতে চাই, আমি কোন তথ্য চুরি করিনাই এবং তা করার প্রশ্নই ওঠেনা।
এস কে আনোয়ারের অভিযোগের প্রেক্ষিতে আমাকে পুলিশ ডেকেছিল বিস্তারিত জানার জন্য। এটিকে গ্রেফতার বলেনা। যা আজকাল পত্রিকায় ছাপা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে ব্যবসায়ী ইয়াসিন বলেন, মিথ্যা তথ্য দিয়ে ব্যবসায়ী এস কে আনোয়ার আমার মানহানী করেছেন। তাই আমি তাঁর বিরুদ্ধে মানহানীর মামলা করেছি।
এ সময় সংবাদ সম্মেলনে ব্যবসায়ী মোহাম্মদ ইয়াসিনের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন তাঁর সহধর্মিনী লতিফা বিনতে আহমেদ।
শাহ ফারুক রহমান
এডিটর, বিডিইয়র্ক, নিউইয়র্ক।