শনিবার, ৩০ মার্চ, ২০২৪
মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ কনস্যুলেটজেনারেল, নিউইয়র্কে গত মঙ্গলবার, ২৬ মার্চ ২০২৪ একটি অভ্যর্থনারআয়োজন করা হয়। উক্ত অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানে উল্লেখযোগ্য সংখ্যককনসাল জেনারেল, কূটনীতিক, ব্রঙ্কস বরো প্রেসিডেন্ট কার্যালয়েরপ্রতিনিধি, গ্রেটার নিউইয়র্ক চেম্বার অব কমার্সের প্রেসিডেন্ট মার্ক জেফ ও নিউইয়র্ক সিটি মেয়র অফিসের প্রতিনিধিসহ বিদেশী অতিথিবৃন্দেরপাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বীরমুক্তিযোদ্ধাগণ, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগও এর সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং অন্যান্য রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও মিডিয়া ব্যক্তিত্বসহ কমিউনিটির বিশিষ্টব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবকঅর্পণের মাধ্যমে অভ্যর্থনা অনুষ্ঠান শুরু হয়। এরপর বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করা হয়।
কনসাল জেনারেল মোঃ নাজমুল হুদা তাঁর স্বগতিক বক্তব্যে সর্বকালেরসর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিগভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তিনি সশ্রদ্ধচিত্তে স্মরণ করেন ত্রিশ লক্ষশহিদ ও দুই লক্ষাধিক নির্যাতিত মা-বোনদের অপরিসীম আত্মত্যাগেরকথা। তিনি আরও স্মরণ করেন আন্তর্জাতিক বন্ধু বিশেষ করে প্রতিবেশীভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধী, সোভিয়েতইউনিয়নের তৎকালীন নেতৃত্ব, যুক্তরাষ্ট্রের বন্ধুপ্রতীম জনগণ ও অন্যান্যযারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনে নৈতিক, রাজনৈতিক, কূটনৈতিকসমর্থন দিয়েছেন। জাতির পিতার স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ বাস্তবায়নেতাঁরই সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বেবর্তমান সরকার নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে উল্লেখ করে কনসালজেনারেল অর্থনৈতিক ও সামাজিক অঙ্গনে বাংলাদেশের অর্জন ও সাফল্যগাঁথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন সহস্রাব্দ উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রাঅর্জন করে সল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশে রূপান্তরিত হতে যাচ্ছেবাংলাদেশ। বাংলাদেশের উন্নয়নে যুক্তরাষ্ট্রসহ প্রবাসী সববাংলাদেশীদের অবদানের কথা উল্লেখ করে বাংলাদেশের উন্নয়নেআরো কার্যকরী ভূমিকা রাখার অনুরোধ জানান। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রবাংলাদেশে অন্যতম প্রধান বিনিয়োগকারী ও বাণিজ্য অংশীদার উল্লেখকরে তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন দ্বিপাক্ষক সম্পর্কজোরদাকরণে নতুন অধ্যায় শুরু করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। কনসাল জেনারেল দু’দেশের জনগণের মধ্যকার সম্পর্ক উন্নয়নে প্রবাসীবাংলাদেশীদের অবদানের কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করেন। তিনি বঙ্গবন্ধু প্রণীত বাংলাদেশের পররাষ্ট্র নীতির মূল ভিত্তি “সকলের সাথে বন্ধুত্ব, কারও সাথে বৈরিতা নয়” অনুসরণে বৈশ্বিক শান্তি ও অগ্রগতিঅর্জনে বাংলাদেশের অঙ্গীকারের কথা উল্লেখ করেন।
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন মুক্তিযুদ্ধের বন্ধু সম্মাননা প্রাপ্ত যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক লিয়ার লেভিন, মেয়র অফিসের আন্তর্জাতিকবিষয়ক কমিশনার জনাব দিলীপ চৌহান ও বিচারপতি সোমা সাইদপ্রমুখ। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের মহা-হিসাব নীরিক্ষক ও নিয়ন্ত্রক মোঃনূরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারেরসকল শহিদ সদস্য, জাতীয় চার নেতা, ৭১-এর সকল শহিদ, শহিদ বীরমুক্তিযোদ্ধাগণ ও শহিদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেএবং দেশের অব্যাহত শান্তি ও অগ্রগতির জন্য বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
বিডিইয়র্ক, নিউইয়র্ক।