এরপর বন্ধু সংগঠনের পরিবার সহ সকলে সমবেত ভাবে অংশ নেয় শোভাযাত্রায়।
অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেন জেমস বিশ্বাস, গফুর খান এবং আরজু। মূল পর্বে শুরু হয় নতুন বছরের প্রতিকী হালখাতার বকেয়া আদায় করে। আবহমান বাংলার হারিয়ে যাওয়া বায়োস্কোপ নিয়ে আসর মাতিয়ে তোলেন বাশার। চলতে থাকে মন্ডা, মিঠাই পরখ করা। আনুষ্ঠানে বন্ধু পরিবারের জামাই, বৌদের সাথে নিয়ে চলে আনন্দ উচ্ছাস। শিশুরা ছিলো বাবা মায়ের সাথে দারুন উৎফুল্ল।
অনুষ্ঠানে গান, আবৃতি, পুথি পাঠ, নাচ ছিলো আনন্দ অনুষঙ্গ। অতিথী আপ্যায়নে বন্ধু পরিবারগুলোর পক্ষ থেকে আনা হয় নানা খাদ্য উপকরন। সূদুর নিউ জার্সি থেকে বিশাল খাদ্য রসদ নিয়ে হাজির হন আকাশ ও তার পরিবার। অনুষ্ঠানে আটটি বিভাগের আঞ্চলিক গান নিয়ে নৃত্য পরিবেশন ছিলো দারুণ উপভোগ্য। এতে অংশ নেন আরজু, ফিরোজ, দোলন, গফুর, এলিজা, জেমস, আইভি, আতিক , সুলতানা , স্বর্না। গান পরিবেশন করেন সুবর্ণা, চন্দন, কৃষ্ণা, গফুর, সাইফুল।
অনুষ্ঠানে ঐতিহ্য কর্নার হিসেবে প্রদর্শিত হয় রিকসা, সাইকেল, হারিকেন, বাঁশি, ঘুড়ি, নকশী কাঁথা প্রভৃতি।
পুরো অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন জাকিয়া, মিনা, মুনমুন, লিজা, মিজান, ফয়সাল, জাহিদ, সাইফুল, সুজন, আশরাফ, কিবরিয়া, লোকমান, সোহেল আজহার সহ আরো অনেকে।
খাদ্য তালিকায় যোগ হয়েছিলো বাংলার চিরায়ত ঐতিহ্য আচার, ভর্তা, পিঠা, পান, মন্ডা-মিঠাই, ইলিশ।
অনুষ্ঠানে বন্ধু পরিবারের সন্তানেরা অংশ নেয়। এতে গান পরিবশেন করে তুবা। যৌথ নৃত্য পরিবেশন করে তুবা ও জান্নাত।
বিকেলের চা পরিবেশন এবং আহবায়কের সমাপনী বক্তব্যের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।
বিডিইয়র্ক ডেস্ক, নিউইয়র্ক।