এর স্বপক্ষে তিনি তিনটি বিষয় তুলে ধরেন :

এক.
নারী ভোটাররা ব্যাপকভাবে ভোট কেন্দ্রে (আগাম ভোটে ) এসেছেন। তারা নির্বাচনের দিনও বড় আকারে ভোট কেন্দ্রে আসবেন। তাদের অধিকাংশই কমলা হ্যারিসকে সমর্থন করছেন। আর এই বিষয়টি নির্বাচনের ফলে ভূমিকা রাখবে।

দুই.
 নির্বাচিত হলে পরবর্তী মেয়াদের প্রথম দিন থেকেই অবৈধ ইমিগ্রান্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া শুরু করবেন- সাবেক প্রেসিডেন্ট ও রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের এমন মন্তব্যের পর স্পেনিশ ভোটাররা তাদের অবৈধ ইমিগ্র্যান্ট আত্মীয়-স্বজনদের নিয়ে শংকিত হয়ে পড়েছেন। তাই স্পেনিশ ভোটাররা অনেকটা ট্রাম্পকে আটকাতে হবে চিন্তা করে ডেমোক্রেট প্রার্থী কমলা হ্যারিসকেই বেছে নিচ্ছেন বা নিবেন বলে মনে করেন ডেমোক্রেট নেতা মোর্শেদ আলম।
কারণ হিসাবে তিনি উল্লেখ করেন, যুক্তরাষ্ট্রের আশেপাশে স্পেনিশ ভাষাভাষি রাষ্ট্রগুলোর প্রায় কয়েক কোটি অবৈধ ইমিগ্র্যান্ট গোটা যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছেন। তাদের অনেকের আত্মীয়-স্বজন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক ও ভোটার। তাই স্পেনিশ ভোট নির্বাচনী ফলাফলে বেশ ভূমিকা রাখবে-যা ডোনাল্ড ট্রাম্পের জন্য চিন্তার কারণ বলে মনে করেন তিনি।

তিন.
সম্প্রতি নিউইয়র্কের ম্যাডিসন স্কয়ার গার্ডেনে এক সমর্থক ডোনাল্ড ট্রাম্পের সামনেই পোয়ের্তোরিকু কে গার্বেজ বলেছেন। সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সেই সমর্থককে বাধা দেননি। আর এতেই যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী পুয়ের্তোরিকু’র মানুষ ক্ষেপেছেন। তারা রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে তাদের জোরালো ক্যাম্পেইন শুরু করেছেন। পুয়ের্তোরিকু’র গর্ব জেনিফার লোপেজসহ অনেক তারকা ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ও কমলা হ্যারিসের পাশে থাকার আহবান জানিয়েছেন। এমনকি পুয়ের্তোরিকু’র সবচেয়ে জনপ্রিয় সংবাদ মাধ্যম কমলা হ্যারিসকে এন্ডোর্স করেছে।
এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণাধীন এই ভূ-খন্ডের নাগরিক হলেও পুয়ের্তোরিকু কে স্টেটের মর্যাদা দিতে রিপাবলিকানরা বাধা দিচ্ছেন। তাদের নির্বাচিত সিনেটর যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটর হিসাবে মর্যাদাও পান না। যদিও এই ভূ-খন্ডের সবাই জন্মগতভাবেই যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক। এ বিষয়টিও পুয়ের্তোরিকু-আমেরিকানদের ক্ষেপিয়ে তুলেছে। তাই তারা কমলা হ্যারিসকেই বেছে নিবেন বলে মনে করেন মোর্শেদ আলম।

প্যালেস্টাইন ইস্যূতে মুসলিম ভোটারগণ ট্রাম্পের দিকে ঝুঁকে পড়েছেন-এমন এক প্রশ্নে প্রবীণ ডেমোক্রেট নেতা মোর্শেদ আলম বলেন, শুধু মাত্র মিশিগানে এর একটু প্রভাব পড়বে, তবে খুব বেশি নয়। কারণ যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ রাজনীতির বিষয়টি মাথায় রেখে বহু প্রগতিশীল মুসলিম নেতা ও সাধারণ ভোটার কমলা হ্যারিসের পক্ষে কাজ করছেন।

মোর্শেদ আলম বলেন, অতীতে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন যে নেতিবাচক কাজ করেছেন সেগুলো মনে করেই যুক্তরাষ্ট্রের মানুষ তাঁকে প্রত্যাখ্যান করবেন বলে মনে করছেন বাংলাদেশ কমিউনিটির অভিভাবক, মুলধারার প্রবীণ এ রাজনীতিবিদ মোর্শেদ আলম।
তিনি বাংলাদেশি আমেরিকান ভোটারদের আবেগ পরিহার করে বিবেকের তাড়নায় কমলা হ্যারিসকে ভোট দেওয়ার আহবানও জানিয়েছেন।

শাহ ফারুক রহমান
এডিটর, বিডিইয়র্ক, নিউইয়র্ক।