বুধবার, ০২ ফেব্রুয়ারী, ২০২২
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র বিষয়ক হাউজ কমিটির সভাপতি সিনিয়র কংগ্রেসম্যান গ্রেগরী মিক্স বলেছেন, সাত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার অর্থ এই নয় যে,যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক অত্যন্ত গভীর।
প্রবীণ ডেমোক্রেট নেতা ও নিউ অ্যামেরিকান ডেমোক্রেটিক ক্লাবের প্রেসিডেন্ট মোরশেদ আলমের পরিচালনায় মতবিনিময় সভায় কমিউনিটির বিশিষ্টজনেরা উপস্থিত ছিলেন। শুভেচ্ছা বক্তৃতায় মোরশেদ আলম বলেন, বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্য সুসম্পর্ক কালের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ। কংগ্রেসম্যান গ্রেগরী মিক্সের সঙ্গে বাংলাদেশি কমিউনিটির এই মতবিনিময় সভা দুই দেশের সম্পর্ক আরও মজবুত করবে।
এ সময় সাংবাদিক সৈয়দ মোহাম্মদ উল্লাহসহ কমিউনিটি নেতারা বাংলাদেশের সাত কর্মকর্তার উপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের বিষয়ে উদ্যোগ নিতে কংগ্রেসম্যানের প্রতি আহবান জানান। তারা বলেন, বাংলাদেশে সন্ত্রাসবাদ, জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে র্যাবের ভূমিকা অগ্রগণ্য। দেশের মানুষ তাদের উপর ভরসা রাখে। গোটা দেশের আইন শৃংখলা রক্ষায় এই এলিট বাহিনীর ভূমিকা সবচেয়ে বেশি প্রশংসার দাবি রাখে। তাই এই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের বিষয়টি বিবেচনা করার অনরোধ জানান সকলে।
জবাবে কংগ্রেসম্যান গ্রেগরী মিক্স বলেন, এই নিষেধাজ্ঞা এই বাহিনীর বিরুদ্ধে নয়, কতিপয় কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। তাছাড়া এই নিষেধাজ্ঞা জাতিসংঘসহ বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থার তথ্য, প্রমাণের ভিত্তিতে ট্রেজারী বিভাগ দিয়ে থাকে। ফলে এই কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সত্যি নয় সেরকম তথ্য, উপাত্ত উপস্থাপনের পর স্টেট ডিপার্টেমেন্ট ও প্রেসিডেন্ট সেটি প্রত্যাহারের ক্ষমতা রাখেন। সেজন্য এ বছর তিনি সরেজমিনে সব কিছু বুঝার জন্য বাংলাদেশ সফরে যেতে চান। তিনি সবার সঙ্গে আলোচনায় বসতে চান। সঠিক বিষয়টি তিনি নিশ্চিত করতে চান বলে উল্লেখ করেন যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতির এই প্রভাবশালী নেতা।
এছাড়া বাংলাদেশে নিযুক্ত নতুন রাষ্ট্রদূতের মাধ্যমেও খোঁজ খবর নেবেন বলে জানান গ্রেগরী মিক্স। তিনি বলেন, ১৯৭৪ সালের পর থেকে বাংলাদেশের সকল কর্মকান্ডে যুক্তরাষ্ট্র ভূমিকা রেখে আসছে। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের পরীক্ষিত বন্ধু বলেও উল্লেখ করেন যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসের হাউজ কমিটির সভাপতি গ্রেগরী মিক্স। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের পরবর্তী জাতীয় নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ দেখতে চায়। সবার অংশগ্রহণে বাংলাদেশের গণতন্ত্র প্রাতিষ্ঠানির রূপ পাবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
মতবিনিময় সভায় যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা ডা. মাসুদুল হাসান,সহ সভাপতি প্রদীপ রন্জন কর, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালাম, শহীদ পরিবারের সন্তান ফাহিম রেজা নূর, নিউইয়র্ক সিটি আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এমদাদ চৌধুরী, কুইন্সের ডিস্ট্রিক্ট লিডার রিচার্ড ডেভিড, নিউ অ্যামেরিকান ইয়ুথ ফোরামের প্রেসিডেন্ট আহনাফ আলম, ভাইস প্রেসিডেন্ট মাসুদুর রহমান, শাহ ফারুক রহমানসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
শাহ ফারুক রহমান এডিটর,
বিডিইয়র্ক, নিউইয়র্ক।